ফেসবুকে আলটিমেট ফলোয়ার বাড়াবো কিভাবে
ফেসবুকে অটো ফলোয়ার নেওয়া এখন অনেকেই চায়, বিশেষ করে যারা অনলাইন পরিচিতি বাড়াতে আগ্রহী।এই প্রক্রিয়ায় সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট টুল, অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় যেগুলো ফলোয়ার বাড়াতে সহায়তা করে।
কিন্তু এসকল টুল ও অ্যাপ এর মাধ্যমে ফলোয়ার বারালে ফেসবুক হ্যাক হউয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা সেটা জানা জরুরি। সুতরাং নিম্নোক্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্রঃ কিভাবে ফেসবুকে অটো ফলোয়ার বাড়ানো যায়
- ফেসবুকে আলটিমেট ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
- অটো ফলোয়ার নেওার বিভিন্ন টুল
- অটো ফলোয়ার নেওার অ্যাপ সমূহ ও ওয়েবসাইট
- অটো
ফলোয়ার নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কিনা
- সতর্কতা
- শেষ কথা
ফেসবুকে আলটিমেট ফলোয়ার বাড়ানোর উপায়
বর্তমান
যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে ফেসবুক এমন
এক প্ল্যাটফর্ম যা বিশ্বব্যাপী কোটি
কোটি মানুষ ব্যবহার করে থাকে। শুধু
যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবেই নয়, ফেসবুক এখন
তথ্য প্রচার, ব্যবসা, ব্র্যান্ডিং ও পরিচিতি অর্জনের
একটি শক্তিশালী উপায়। অনেকেই চায় ফেসবুকে বেশি
ফলোয়ার পেতে, কারণ ফলোয়ার সংখ্যা
বাড়লে কনটেন্ট অনেকের কাছে পৌঁছে যায়
এবং প্রভাব বিস্তার করা সহজ হয়।
তবে ফেসবুকে অসংখ্য ফলোয়ার অর্জন করা সহজ নয়
কারন এর জন্য পরিকল্পনা,
সৃজনশীলতা ও ধৈর্য প্রয়োজন।
ফেসবুকে
আলটিমেট ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য যা যা
করা দরকার -
১. মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করাঃ
ফলোয়ার
বাড়ানোর মূল চাবিকাঠি হলো
কনটেন্ট। আপনি যদি নিয়মিত
ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন,
তাহলে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই আপনাকে অনুসরণ করবে। আপনার পোস্ট হতে হবে তথ্যবহুল,
শিক্ষনীয়, বিনোদনমূলক বা এমন কিছু
যা মানুষকে ভাবতে বাধ্য করে। কনটেন্টে ছবি,
ভিডিও, রিল, মিম কিংবা
লাইভ যাই হোক না
কেন, সেটি যেন দর্শকের
মনোযোগ ধরে রাখতে পারে
এবং দর্শক দের পুনঃরাই আপনার কনটেন্টে দেখতে আগ্রহি হন।
২.
টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করাঃ
আপনার
কনটেন্ট কাদের জন্য, তা আপনাকে আগে
নির্ধারণ করতে হবে। আপনি
যদি শিক্ষার্থীদের জন্য টিপস শেয়ার
করেন, তাহলে আপনার টার্গেট হবে তরুণ শিক্ষার্থীরা।
আবার আপনি যদি রান্নার
ভিডিও পোস্ট করেন, তাহলে আপনাকে HOMEMAKERS বা ফুডি দর্শকদের
নিয়ে ভাবতে হবে। অডিয়েন্সের রুচি
বুঝে কনটেন্ট তৈরি করলে ফলোয়ার
দ্রুত বাড়বে।
৩.
ফেসবুক রিলস ও ভিডিও কনটেন্ট ব্যবহার করাঃ
বর্তমানে
ফেসবুক রিলস এবং ছোট
ভিডিও কনটেন্ট খুব দ্রুত রিচ
পায়। অনেক অজানা মানুষও
রিলস থেকে ফলো করতে
শুরু করে। তাই চেষ্টা
করুন ৩০ সেকেন্ড থেকে
১ মিনিটের মধ্যে আকর্ষণীয় কিছু ভিডিও বানাতে।চেষ্টা
করবেন ট্রেনডিং বিসয় গুলোর উপর
ভিত্তি করে কনটেন্ট বানানর।
এতে ভিউ বাড়বে এবং
অনেকেই আপনার পেজ বা প্রোফাইল
ফলো করবে।
৪.
কনটেন্টে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাঃ
অনেকেই
শুরুতে উৎসাহ নিয়ে কনটেন্ট তৈরি
করেন, কিন্তু কয়েকদিন পর থেমে যান।
এটা খুবই সাধারণ ভুল।
ফলোয়ার পেতে হলে নিয়মিত
কনটেন্ট পোস্ট করতে হবে। প্রতিদিন
না পারলেও সপ্তাহে অন্তত ৩-৪ দিন
সক্রিয় থাকুন। সক্রিয়তা দেখলে ফেসবুকের অ্যালগরিদম আপনার পোস্টকে বেশি রিচ দেয়,
ফলে নতুন নতুন দর্শকরা
আপনার কনটেন্টে পৌঁছাবে।
৫.
অন্যান্য গ্রুপ ও পেজে কনটেন্ট শেয়ার করাঃ
নিজের
পোস্টগুলো জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন (যেখানে
স্প্যাম হিসেবে মনে হবে না)
এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ, তেলিগ্রাম, ইন্সট্রাগ্রামের গ্রুপেও শেয়ার করতে পারেন ।
গ্রুপে উপকারী মন্তব্য করা, নিজের পেজের
লিংক দেওয়া কিংবা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া – এসব কৌশল ব্যবহার
করে আপনি অল্প সময়ে
ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন
যেন সেটা অহেতুক বিজ্ঞাপনে
পরিণত না হয়।
৬.
লাইভে আসা এবং দর্শকের সাথে যোগাযোগ রাখাঃ
লাইভ
ভিডিও আপনাকে ফলোয়ারদের সাথে সরাসরি সংযুক্ত
হতে সাহায্য করে। মাঝে মাঝে
লাইভে এসে প্রশ্ন-উত্তর
সেশন করুন, অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন বা কোনো
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা
করুন। এভাবে দর্শকের সঙ্গে একটি সম্পর্ক তৈরি
হয়, যা তাদের আপনাকে
নিয়মিত ফলো করতে উৎসাহিত
করবে।
অনেকেই
ভুল করে প্রোফাইল ফলো
করার অপশন বন্ধ করে
রাখেন। প্রথমেই সেটি চালু করুন।
আপনার প্রোফাইলের বায়ো, কভার ছবি, প্রোফাইল
ছবি আকর্ষণীয় করে সাজান যাতে
নতুন দর্শক আপনাকে ফলো করতে আগ্রহী
হয়। এছাড়া পিন করা পোস্টে
নিজেকে সংক্ষেপে পরিচয় দিন।
৮.
কোলাবরেশন ও ট্যাগিংঃ
অন্য
কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কোলাবরেশন করলে আপনি তাদের
অডিয়েন্সের কাছেও পৌঁছাতে পারবেন। একইভাবে পোস্টে প্রাসঙ্গিক মানুষদের ট্যাগ করলেও তা বেশি রিচ
পায়। এ ধরনের পারস্পরিক
সহযোগিতার মাধ্যমে সহজে ফলোয়ার বাড়ানো
সম্ভব। সুতরাং বেসি বেসি ট্যাগ
করতে থাকুন।
৯.
পেইড প্রমোশন (বিকল্পভাবে) ব্যবহারঃ
আপনি
চাইলে কিছু টাকা খরচ
করে ফেসবুকের পেইড অ্যাড ব্যবহার
করতে পারেন। এতে নির্দিষ্ট বয়স,
এলাকা, পছন্দ অনুযায়ী মানুষদের কাছে আপনার পেজ
বা কনটেন্ট পৌঁছানো সম্ভব হয়। তবে এটা
তখনই কাজ করে যখন
আপনার কনটেন্ট ভালো হয়।
ফেসবুকের
অ্যালগরিদম সব কনটেন্ট একভাবে
প্রচার করে না। সাধারণত
রাত ৮টা থেকে ১০টার
মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ ফেসবুক
ব্যবহার করে। আপনি যদি
এই সময়ে কনটেন্ট পোস্ট
করেন, তাহলে তা বেশি দর্শকের
কাছে পৌঁছাতে পারে। এছাড়া কমেন্ট, শেয়ার, রিঅ্যাকশন যত বেশি হবে,
রিচ ততই বাড়বে।
অটো ফলোয়ার নেওার বিভিন্ন টুলঃ
অটো
ফলোয়ার টুল হচ্ছে একটি
সফটওয়্যার বা অনলাইন সার্ভিস,
যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে
ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। সাধারণত, এসব টুল আপনার
একাউন্টকে অন্যদের ফলো, লাইক বা
কমেন্ট করিয়ে দেয় এবং বিনিময়ে
আপনার একাউন্টেও ফলোয়ার বাড়ে। অনেক টুল “ফলো
ফর ফলো” বা “লাইক
ফর লাইক” ভিত্তিতে কাজ করে।
নিম্নে
কিছু জনপ্রিও অটো ফলোয়ার টুল
এবং এদের সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত
বর্ণনা দেওয়া হলঃ
১.FollowersGallery(ফলোয়ারসগ্যালারি) -
৩. FBLiker / MG Liker/HimziLiker(এফবি লাইকার/ এমজি লাইকার হিমজি লাইকার) এই ধরনের ফেসবুক অটো লাইক ও ফলোয়ার টুল বাংলাদেশ ও ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। এসব টুলে ফেসবুক অ্যাক্সেস দিয়ে ফলোয়ার আনা যায়।
আরও পরুন ঃ গরভাবস্থাইয় কি খেলে বাচ্চা ফর্সা হয়
অটো ফলোয়ার নেওার অ্যাপ সমূহ ও ওয়েবসাইট
বতমান সময়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফলোয়ারের সংখ্যা যেন একটি ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের অনলাইন পরিচিতির অন্যতম মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকেই চায় দ্রুত বেশি ফলোয়ার পেতে, যাতে জনপ্রিয়তা বাড়ে এবং বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়। এই চাহিদা থেকেই ‘অটো ফলোয়ার’ বা স্বয়ংক্রিয় ফলোয়ার বৃদ্ধির বিভিন্ন টুল বা অ্যাপ্লিকেশন তৈরি হয়েছে। তবে এই টুলগুলোর সুবিধা যেমন আছে, তেমনি রয়েছে ঝুঁকিও.
এটি
একটি পুরোনো এবং বহুল ব্যবহৃত
ওয়েবসাইট যা সোশ্যাল মিডিয়া
একাউন্টে ফলোয়ার, লাইক, শেয়ার বাড়াতে সাহায্য করে। এখানে বিভিন্ন
সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্ক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে ফলোয়ার বাড়ে।
বর্তমান
ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
টিকটক, টুইটার ইত্যাদি মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে।
এসব প্ল্যাটফর্মে অধিক ফলোয়ার মানে
জনপ্রিয়তা, পরিচিতি এবং কখনো কখনো
উপার্জনের সুযোগ। ফলে অনেকেই চায়
অল্প সময়ে হাজার হাজার
ফলোয়ার অর্জন করতে। এ কারণে অনেক
ব্যবহারকারী ‘অটো ফলোয়ার’ নেওয়ার
বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের আশ্রয়
নেন। যদিও এসব পদ্ধতি
নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
‘অটো
ফলোয়ার’ মানে হলো—স্বয়ংক্রিয়ভাবে
ফলোয়ার বৃদ্ধি। এ প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারী
কোনো বিশেষ অ্যাপ বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে
নিজের একাউন্টে কৃত্রিমভাবে ফলোয়ার বাড়ায়। এটি হতে পারে
বট (Bot) দিয়ে, অথবা “ফলো ফর ফলো”
ভিত্তিতে, যেখানে আপনি কাউকে ফলো
করলে অন্য কেউ আপনাকে
ফলো করবে। কিছু ক্ষেত্রে “টোকেন”
বা এক্সেস পারমিশনের মাধ্যমে এসব টুল কাজ
করে।
১. Turbo
Followers for Instagram : এটি অ্যান্ড্রয়েড ও
আইওএস উভয় প্ল্যাটফর্মেই পাওয়া
যায়। এটি মূলত একটি
কয়েন সিস্টেমে কাজ করে। আপনি
অন্যদের ফলো করে কয়েন
অর্জন করেন, পরে সেই কয়েন
খরচ করে ফলোয়ার কিনতে
পারেন।
২. Get
Real Followers: এই অ্যাপ ব্যবহার
করে ব্যবহারকারী খুব সহজেই তার
ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুক একাউন্টে
ফলোয়ার বাড়াতে পারেন। এখানেও "ফলো ফর ফলো"
ভিত্তিতে সিস্টেম চলে।
৩. Followers
Gallery : এটি একটি বিখ্যাত
অ্যাপ, যা অর্গানিক ফলোয়ার
বৃদ্ধির দাবি করে। আপনি
যত বেশি অ্যাপ ব্যবহার
করবেন, তত বেশি ফলোয়ার
পাবেন।
৪. Neutrino+: এটি ছিল একটি জনপ্রিয় অ্যাপ (বর্তমানে অনেকে এটি ব্যবহার করতে পারেন না), যা খুব দ্রুত ফলোয়ার বাড়াতে সক্ষম। যদিও এটি মাঝে মাঝে নীতিমালার লঙ্ঘনের জন্য অ্যাকাউন্টে সমস্যা করতো।
৫. Royal
Likes & Followers : এই অ্যাপটি ইনস্টাগ্রাম
ফলোয়ার ও লাইক বাড়াতে
ব্যবহৃত হয়। ব্যবহারকারীরা কয়েন
অর্জন করে নিজেদের প্রোফাইলে
ফলোয়ার বাড়াতে পারেন।
১. AddMeFast : এই ওয়েবসাইটটি বহু
বছর ধরে সামাজিক মাধ্যমে
ফলোয়ার, লাইক, শেয়ার, কমেন্ট বাড়াতে ব্যবহার হচ্ছে। এখানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম (ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, টুইটার) যুক্ত করা যায়।
২. YouLikeHits : এটি একটি লিঙ্ক
এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্ম। আপনি অন্যের কনটেন্টে
লাইক/ফলো করে পয়েন্ট
পান, আর সেই পয়েন্ট
দিয়ে নিজের প্রোফাইলে ফলোয়ার আনতে পারেন।
৩. Mr.
Insta : এটি ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ার
ও লাইক বাড়ানোর জন্য
একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। এটি ফ্রি ও
পেইড উভয় সার্ভিস অফার
করে।
৪. Followeran.com : এই ওয়েবসাইটে ইনস্টাগ্রাম
ফলোয়ার অটোভাবে বাড়ানো যায়। কিছু ফিচার
ফ্রি, আবার কিছু পেইড।
৫. FBSub
– Auto Followers for Facebook : এই ওয়েবসাইট ফেসবুক
ব্যবহারকারীদের জন্য অটো ফলোয়ার
ও লাইক বৃদ্ধির সুযোগ
দেয়। এটি Access Token ব্যবহার করে কাজ করে।
৬. InstaFollowers.com: এই সাইটটি ইনস্টাগ্রাম
ছাড়াও টিকটক, ইউটিউব ও ফেসবুকের ফলোয়ার,
লাইক, কমেন্ট বাড়ানোর সুবিধা দেয়। এখানে ফ্রি
ট্রায়ালও পাওয়া যায়।
অটো
ফলোয়ার নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কিনা
বর্তমান
ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম,
বিশেষ করে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,
টিকটক বা টুইটারের মতো
প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয়তা একটি বড় বিষয়।
জনপ্রিয়তার পরিমাপক হিসেবে ফলোয়ার সংখ্যা অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করে। ব্যক্তিগত
ব্র্যান্ড, পণ্যের প্রচার, অনলাইন আয়ের সুযোগ তৈরি
কিংবা পরিচিতি বৃদ্ধির জন্য অনেকেই হাজার
হাজার ফলোয়ার পেতে আগ্রহী। এই
চাহিদার ফলেই “অটো ফলোয়ার” সেবার
প্রসার ঘটেছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে—এই অটো ফলোয়ার
নেওয়ার পদ্ধতি কি আসলেই নিরাপদ?
নাকি এতে রয়েছে নানা
ঝুঁকি?
সোজা
ভাষায় বললে, অটো ফলোয়ার নেওয়া
একটি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সন্দেহজনক পদ্ধতি।
সাধারণত অটো ফলোয়ার অ্যাপ
বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যবহারকারীকে
নিজের প্রোফাইলের লগইন তথ্য বা
Access Token দিতে হয়। এই তথ্য
কারো হাতে গেলে ব্যবহারকারীর
একাউন্ট সম্পূর্ণরূপে হ্যাক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
থাকে। হ্যাকাররা আপনার একাউন্ট থেকে নিজের মতো
পোস্ট করতে পারে, ম্যালওয়্যার
ছড়াতে পারে বা এমন
কিছু করতে পারে যা
আপনার অনলাইন সুনাম নষ্ট করে দিতে
পারে।
অন্যদিকে,
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ইউটিউবের মতো
প্ল্যাটফর্মগুলোর নিজস্ব নীতিমালায় বলা আছে, স্বয়ংক্রিয়
সফটওয়্যার বা বট ব্যবহার
করে কৃত্রিম ফলোয়ার বা লাইক নেওয়া
সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এসব নিয়ম লঙ্ঘন
করলে একাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক, নিষ্ক্রিয় অথবা চিরতরে ডিলিট
হয়ে যেতে পারে। অনেকেই
অল্প সময়ের লাভের আশায় এই ধরনের
টুল ব্যবহার করেন, কিন্তু পরে স্থায়ীভাবে তাদের
প্রোফাইল হারিয়ে ফেলেন।
সবচেয়ে
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যারা
আপনার কনটেন্টে আগ্রহী নয়, তারা আপনার
পোস্টে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে
না, এমনকি কখনো আপনাকে স্মরণেও
রাখবে না। অথচ একজন
আগ্রহী, সক্রিয় ফলোয়ার আপনার জন্য ভ্যালু তৈরি
করতে পারে—আপনার কনটেন্ট
শেয়ার করতে পারে, মন্তব্য
করতে পারে এবং আপনাকে
অন্যদের কাছে সুপারিশ করতে
পারে।শতরকত
সতর্কতা
অটো
ফলোয়ার নেওয়ার পদ্ধতি যতই সহজ ও
দ্রুত ফলদায়ী মনে হোক না
কেন, এর পেছনে রয়েছে
একাধিক গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকি। এসব অ্যাপ বা
ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে গেলে অনেক
সময় ব্যবহারকারীর একাউন্টের লগইন তথ্য, এমনকি
Access Token দিতে বলা হয়। এসব
তথ্য একবার অন্যের হাতে চলে গেলে
আপনার প্রোফাইল সম্পূর্ণরূপে হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
ওয়েবসাইট হ্যাক করে তারা আপনাকে
হুমকি দিতে পারে এমনকি
আপনার গোপনীয়তাও ফাস করে দিতে
পারে। সুধু তাই নয়,
কিছু টুল ব্যবহারকারীর একাউন্ট
থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্যদের ফলো, লাইক বা
কমেন্ট করায়—যা এক
ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ।
ফেসবুক,
ইনস্টাগ্রাম বা অন্যান্য সামাজিক
মাধ্যমের নিজস্ব গাইডলাইন অনুযায়ী, অটোমেটেড বট বা স্ক্রিপ্ট
ব্যবহার করে ফলোয়ার বাড়ানো
স্পষ্টতই নিষিদ্ধ। এই নিয়ম ভাঙলে
আপনার একাউন্ট সাময়িকভাবে সীমাবদ্ধ হতে পারে, এমনকি
চিরতরের জন্য বন্ধও হয়ে
যেতে পারে। অনেক ব্যবহারকারী শুধু
ফলোয়ার বাড়াতে গিয়ে নিজের কষ্টার্জিত
প্রোফাইল হারিয়েছেন। এর ফলে তারা
ভোগান্তিরও শিকার হন।
অন্যদিকে,
অটো ফলোয়ারের মাধ্যমে যেসব ফলোয়ার আসে,
তাদের অধিকাংশই হয় ফেক বা
নিষ্ক্রিয় বট অ্যাকাউন্ট। ফলে
আপনার পোস্টে তেমন লাইক, কমেন্ট
বা শেয়ার দেখা যায় না।
এতে অ্যালগরিদম আপনার কনটেন্টকে কম গুরুত্ব দেয়
এবং ভবিষ্যতে পোস্টগুলোর রিচ কমে যায়।
ফলে আপনার প্রোফাইলের আসল মূল্য কমে
যেতে থাকে।
এই কারণে অটো ফলোয়ার নেওয়ার
আগে অবশ্যই ভালোভাবে চিন্তা করুন। নিজের অনলাইন নিরাপত্তা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্র্যান্ড
ভ্যালুর কথা মাথায় রেখে
সিদ্ধান্ত নিন। যতটা সম্ভব
অর্গানিকভাবে ফলোয়ার অর্জনের চেষ্টা করুন—তবেই আপনি
পাবেন স্থায়ী এবং কার্যকর ফলাফল
যা আপনার ওয়েবসাইটের রিচ বারাতে ভুমিকা
রাখবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url